দলবদল করতেই বিজেপি র হাতে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর ভাই , চাঞ্চল‍্য পাত্রসায়ের এ : অভিযোগ ভিত্তিহীন বললো পদ্ম শিবির

6th July 2020 2:08 pm বাঁকুড়া
দলবদল করতেই বিজেপি র হাতে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর ভাই , চাঞ্চল‍্য পাত্রসায়ের এ : অভিযোগ ভিত্তিহীন বললো পদ্ম শিবির


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান আর সেই কারণেই মার খেতে হল তৃণমূল কর্মীর ভাইকে। সম্প্রতি পাত্রসায়ের থানার বেলুট গ্রামের সুপ্রিয় চক্রবর্তী পদ্ম শিবির ছেড়ে যোগদান করে ঘাসফুল শিবিরে। আর তারপর থেকেই চলছিল বিভিন্নভাবে হুমকি এবং শাসানি বিজেপির, বলেই অভিযোগ। গতকাল দুপুরে সুপ্রিয় চক্রবর্তীর ভাই শুভদীপ চক্রবর্তী মারধর করা হয় এমনটাই অভিযোগ। গতকাল দুপুর বেলার গাড়ি ধুতে বেলুড় গ্রামেরি কুন্ডুপাড়া এলাকায় গিয়েছিলেন শুভদীপ। সেই সময় দুইজন বিজেপি কর্মী তার ওপর চড়াও হয় এমনটাই অভিযোগ।মারধোর করা হয় লাঠি রড শাবল দিয়ে।ঘটনায় মাটিতে পড়ে অচেতন হয়ে যায় শুভদীপ। পরে স্থানীয়রা তাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখলে পাত্রসায়ের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য। তার কপালে এবং বাম হাতে আঘাত লেগেছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পাত্রসায়ের থানায়।
আহত ও তার পরিবারের অভিযোগ গত কয়েকদিন ধরেই উড়ো ফোনে আসছিল হুমকি। যোগদানের পর থেকেই তাদের ফোনে শাসানি দেওয়া হচ্ছিল মেরে ফেলার। গতকাল এই ঘটনায় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি করেছেন আহতের পরিবার।

বিজেপি স্থানীয় নেতৃত্ব অবশ্য  মিথ্যা অভিযোগ করা তৃণমূল অভ্যাসে পরিনত হয়েছে বলে দাবী করে। অভিযোগকারিণী কোনদিনই বিজেপি করেনি এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। সবই মিথ্যে কথা। তাদের বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে।

বিজেপির দাবী নস‍্যাৎ করে তৃণমূলের অভিযোগ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বিজেপিই। গত লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভায় বিজেপি জিতলেও পাত্রসায়ের বেলুড় রসুলপুর পঞ্চায়েত এলাকায় জিততে পারেনি বিজেপি। আর সেই প্রতিহিংসার কারণেই তৃণমূল কর্মীদের মারধর করছে বিজেপি এমনটাই দাবি তৃণমূল স্থানীয় নেতৃত্বের।
 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।